ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন থাকুন

Thursday, June 17, 2010

l ই-মেইলের সংযুক্ত ফাইল খোলার আগে তাতে কোনো ভাইরাস আছে কি না, তা জানতে সেটি অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে হবে।
l যদি এক বা একাধিক ফাইল ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তবে তা প্রথমে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে পরিষ্কার (ক্লিন) করার চেষ্টা করতে হবে। সব ফাইল যদি পরিষ্কার হয় তবে তো ভালো কথা। কিন্তু কিছু ফাইল যদি পরিষ্কার না হয়, তবে সেগুলো মুছে (ডিলিট) ফেলতে হবে। ফাইলগুলো যদি আপনার খুব দরকারি হয়, সে ক্ষেত্রে সেসব না মুছে কোয়ারেনটাইন (ভাইরাসে আক্রান্ত ফাইল না মুছে সেগুলোকে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে একটি বিশেষ অবস্থায় রাখা) করে রাখতে হবে। এ অবস্থায় ফাইলগুলো থেকে কোনোভাবেই ভাইরাস ছড়াতে পারে না।
l যখন কোনো ফ্লপিডিস্ক, সিডি, অতিরিক্ত হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভ ইত্যাদি ব্যবহার করা হবে, তখন ভাইরাস পরীক্ষার (স্ক্যান) স্বয়ংক্রিয় সুবিধাটি সক্রিয় রাখতে হবে।
l সব সময় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের হালনাগাদ সংস্করণটি ব্যবহার করতে হবে এবং অ্যান্টিভাইরাস হালনাগাদ করার পর অবশ্যই পুরো কম্পিউটার এটি দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে হবে।
l একই অপারেটিং সিস্টেমে কখনোই পাশাপাশি দুটি বা এর বেশি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার রাখা উচিত হবে না।
l ব্যবহারকারী ইচ্ছা করলে একাধিক অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার পরীক্ষা করে নিতে পারেন। কারণ অনেক সময় দেখা যায়, কোনো একটি অ্যান্টিভাইরাস কখনো কখনো কিছু ভাইরাসকে শনাক্ত করতে পারে না।
l একাধিক অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার পরীক্ষা করতে চাইলে প্রথমে যে অ্যান্টিভাইরাসটি ইনস্টল করেছেন, তা দিয়ে সম্পূর্ণ কম্পিউটারকে পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং পরে সেটি ফেলে দিয়ে (আন-ইস্টল) আরেকটি অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে কম্পিউটার পরীক্ষা করাতে হবে।
l কম্পিউটারে ভাইরাস পরীক্ষা চালানোর জন্য প্রথমে safe মোডে কম্পিউটার চালু করতে হবে। এরপর ভাইরাস পরীক্ষার কাজ শুরু করতে হবে।
l যাঁরা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাঁরা অবশ্যই হালনাগাদ অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন।
l ব্যবহারকারীর যদি অসীম (আনলিমিটেড) ডায়ালআপ বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ থাকে, তবে ব্যবহারকারী ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বখ্যাত অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নির্মাতার ওয়েবসাইট থেকে বিনামূল্যে ভাইরাস স্ক্যান করে নেওয়া যেতে পারে।

0 comments:

Post a Comment