এ পোষ্টে মূলত আমি নিজে যে মহাবিপদে পড়েছিলাম ’সিটিসেল আল্ট্রা’ zte ac 682 মডেমটা কিনে, তার এক ব্যতিক্রমী সমাধানকার্য আলোচনা করবো। বলে রাখি, মডেমটা কাষ্টমার কেয়ার এ নিয়ে গেলে আমার সামনেই লাগালে ভালো স্পীডেই কাজ করতো, অথচ বাসায় এলে 1KB ছিলো সর্বচ্চ স্পীড। নেটওয়ার্ক বার কিন্তু আমাদের এলাকায় ফুল। তাহলে এমন করার কোনো কারন ভেবে পেলাম না। এদিকে সিটিসেলকেও পুরো দোষ দিতে পারছিলাম না, কারন তারা আমার মডেমেই কাজ করে দেখিয়েছে।
আমারতো কান্না আসার অবস্থা, হয় লসে মডেমটা বিক্রি করতে হবে, নয় মাদারবোর্ডই চেন্জ করতে হতে পারে, কেননা ওরা বলছে আপনার হার্ডওয়ারে সমস্যা আছে হয়তো। টাকাও বেশী নেই, হ্যান্ডসেট চুরি হওয়ার অনেকদিন নেটে বসতেও পারিনি, আর অপেক্ষঅ সহ্যও হচ্ছিলনা।
যাইহোক আমার হঠাত মনে হলো যে, হতে পারে এ মডেমের ইন্টারনেট ক্ষমতা কম, যদিও এটি পুরো নেটওয়ার্ক দেখাচ্ছে, তবে এর ইন্টারনেট ক্ষমতা গ্রহন করে কম, এর খুব ভালো পাওয়ার না হলে নেট স্পিড বাড়বে না। আমি ভাবলাম গ্রামে টাওয়ার পাবার জন্যে অনেক সময় এন্টেনা ব্যবহার হয়, যা মুলত এন্টেনায় প্রিকোয়েন্সিকে ধরে তারের মাধ্যমে মোবাইলে নিয়ে আসে, আর সেই তারের প্রিকোয়েন্সিকে মোবাইল ধরে নেয় কানেকটরের সাহায়্যে।
াকন্তু যেখানে টাওযার পাওয়া যাচ্ছে সেখানে টাওয়ার কিভাবে দেয়া যাবে? আর মডেমে কোনো কানেকটরও নেই যা দিয়ে এন্টেনার লাইন দেয়া যায়।
আমি পরীক্ষামুলকভাবে হাস্যকর একটা কাজ করলাম, বেশ লম্বা একটা তার নিয়ে একমাথা ছিলে সেটা দিয়ে মডেমের মাঝামাঝি কয়েক পাক দিয়ে আটকালাম, অপর মাথা দু হাত লম্বা করে ছিলে নিলাম, তারপর সেটাকে টিভি এন্টেনারমতো U আকৃতির করে দিলাম, তারপর সেটা ঘরের বাইরে জানালার বাইরে ফেলে দিলাম, মজার আর আনন্দের ঘটনাটা তখনই ঘটলো, যদিও টাওয়ার বারের কোনো পরিবর্তন হলো না, কিন্তু বিশ্বাস করুন, স্পিড পরিবর্তন টের পেলাম, বাড়তে বাড়তে তা ১১ KBPS এ দাড়ালো। আমার আনন্দ তখন আর দেখে কে!
আপাতত এভাবেই চালাচ্ছি, পরে একটা ছোট এন্টেনা বানিয়ে নিবো, আশা করা যায় তখন আরো স্পিড বাড়বে। ততক্ষন না হয় এটা দিয়েই কাজ করি
, আর্থিক ক্ষতিটাতো আর হলো না
বিশ্লেষন :
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে বলে যে, মূলত এই মডেমটার ডাটা প্রসেসিং ইউনিট হয়তো খুব বেশী সঙবেদনশীল না, এটা নেটওয়ার্ক থেকে তার সর্বচ্চ আদায় করে নিতে পারেনা বলেই এই সমস্যাটা হয়, ওদের কেয়ার সেন্টার এর কাছেই যেহেতু টাওয়ারগুলো থাকে, সেহেতু ওদের কাছে গেলে সবই ঠিক, ভালো স্পিড পায়, কিন্তু একটু দূরে গেলেই মডেম আর কুলিয়ে উঠতে পারে না। তখন ওদের অক্সিজেন দিতে হয়, আমার মতো নেটওযার্ক পাওয়ার ধরে ধরে এনে দিতে হয়। এদের নেটওয়ার্ক বার আর ইন্টারনেট পাওয়ার আসলে দুটা ভিন্ন জিনিস, নেটওয়ার্ক ফুল থাকলেও কিছু আসে যায়না, কেননা সামান্য তারতম্যেই এর দুর্বলতা বেরীয়ে পড়ে।
দৃষ্টব্য:
আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে এধরনের কাজে উদসাহ বা নিরুদসাহ কোনোটাই দেবোনা, যা করবেন নিজের জ্ঞানে করবেন, কোনো প্রকার সমস্যার এর দ্বারা কারো হয়ে গেলে তার দায়ভঅর নেবো না, উপকার হলে ধন্য মনে করবো, পারলে মন্তব্যে ধন্যবাদ দেবেন তখন। আমার একটাই উদ্দেশ্য ছিলো, যদি কেউ আমার মতো এরকম রহস্যময় পরিস্থিতিতে পড়েন তাহলে হয়তো কাজে লাগতে পারে। এলক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপগুলো একান্তই ব্যক্তিগত। এই সমাধান কিছু ক্ষেত্রে জিপি মডেমেও কাজে আসতে পারে, এটি দিয়ে আপনার আর্থিক ক্ষতি কমে যেতে পারে, তবে আপনারা কেউ আমার মতো ঝামেলায় পড়ুন তা কখনই আশা করিনা, যদি পড়েনও তাহলে হয়তো এটা উদ্ধার করতে পারে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
update:
একটা directional yagi এন্টেনা বানায়ে দিয়েছি, ছোট পুচকে একটা এন্টেনা, এরকম দেখতে

আমারতো কান্না আসার অবস্থা, হয় লসে মডেমটা বিক্রি করতে হবে, নয় মাদারবোর্ডই চেন্জ করতে হতে পারে, কেননা ওরা বলছে আপনার হার্ডওয়ারে সমস্যা আছে হয়তো। টাকাও বেশী নেই, হ্যান্ডসেট চুরি হওয়ার অনেকদিন নেটে বসতেও পারিনি, আর অপেক্ষঅ সহ্যও হচ্ছিলনা।
যাইহোক আমার হঠাত মনে হলো যে, হতে পারে এ মডেমের ইন্টারনেট ক্ষমতা কম, যদিও এটি পুরো নেটওয়ার্ক দেখাচ্ছে, তবে এর ইন্টারনেট ক্ষমতা গ্রহন করে কম, এর খুব ভালো পাওয়ার না হলে নেট স্পিড বাড়বে না। আমি ভাবলাম গ্রামে টাওয়ার পাবার জন্যে অনেক সময় এন্টেনা ব্যবহার হয়, যা মুলত এন্টেনায় প্রিকোয়েন্সিকে ধরে তারের মাধ্যমে মোবাইলে নিয়ে আসে, আর সেই তারের প্রিকোয়েন্সিকে মোবাইল ধরে নেয় কানেকটরের সাহায়্যে।
াকন্তু যেখানে টাওযার পাওয়া যাচ্ছে সেখানে টাওয়ার কিভাবে দেয়া যাবে? আর মডেমে কোনো কানেকটরও নেই যা দিয়ে এন্টেনার লাইন দেয়া যায়।
আমি পরীক্ষামুলকভাবে হাস্যকর একটা কাজ করলাম, বেশ লম্বা একটা তার নিয়ে একমাথা ছিলে সেটা দিয়ে মডেমের মাঝামাঝি কয়েক পাক দিয়ে আটকালাম, অপর মাথা দু হাত লম্বা করে ছিলে নিলাম, তারপর সেটাকে টিভি এন্টেনারমতো U আকৃতির করে দিলাম, তারপর সেটা ঘরের বাইরে জানালার বাইরে ফেলে দিলাম, মজার আর আনন্দের ঘটনাটা তখনই ঘটলো, যদিও টাওয়ার বারের কোনো পরিবর্তন হলো না, কিন্তু বিশ্বাস করুন, স্পিড পরিবর্তন টের পেলাম, বাড়তে বাড়তে তা ১১ KBPS এ দাড়ালো। আমার আনন্দ তখন আর দেখে কে!
আপাতত এভাবেই চালাচ্ছি, পরে একটা ছোট এন্টেনা বানিয়ে নিবো, আশা করা যায় তখন আরো স্পিড বাড়বে। ততক্ষন না হয় এটা দিয়েই কাজ করি


বিশ্লেষন :
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে বলে যে, মূলত এই মডেমটার ডাটা প্রসেসিং ইউনিট হয়তো খুব বেশী সঙবেদনশীল না, এটা নেটওয়ার্ক থেকে তার সর্বচ্চ আদায় করে নিতে পারেনা বলেই এই সমস্যাটা হয়, ওদের কেয়ার সেন্টার এর কাছেই যেহেতু টাওয়ারগুলো থাকে, সেহেতু ওদের কাছে গেলে সবই ঠিক, ভালো স্পিড পায়, কিন্তু একটু দূরে গেলেই মডেম আর কুলিয়ে উঠতে পারে না। তখন ওদের অক্সিজেন দিতে হয়, আমার মতো নেটওযার্ক পাওয়ার ধরে ধরে এনে দিতে হয়। এদের নেটওয়ার্ক বার আর ইন্টারনেট পাওয়ার আসলে দুটা ভিন্ন জিনিস, নেটওয়ার্ক ফুল থাকলেও কিছু আসে যায়না, কেননা সামান্য তারতম্যেই এর দুর্বলতা বেরীয়ে পড়ে।
দৃষ্টব্য:
আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে এধরনের কাজে উদসাহ বা নিরুদসাহ কোনোটাই দেবোনা, যা করবেন নিজের জ্ঞানে করবেন, কোনো প্রকার সমস্যার এর দ্বারা কারো হয়ে গেলে তার দায়ভঅর নেবো না, উপকার হলে ধন্য মনে করবো, পারলে মন্তব্যে ধন্যবাদ দেবেন তখন। আমার একটাই উদ্দেশ্য ছিলো, যদি কেউ আমার মতো এরকম রহস্যময় পরিস্থিতিতে পড়েন তাহলে হয়তো কাজে লাগতে পারে। এলক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপগুলো একান্তই ব্যক্তিগত। এই সমাধান কিছু ক্ষেত্রে জিপি মডেমেও কাজে আসতে পারে, এটি দিয়ে আপনার আর্থিক ক্ষতি কমে যেতে পারে, তবে আপনারা কেউ আমার মতো ঝামেলায় পড়ুন তা কখনই আশা করিনা, যদি পড়েনও তাহলে হয়তো এটা উদ্ধার করতে পারে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
update:
একটা directional yagi এন্টেনা বানায়ে দিয়েছি, ছোট পুচকে একটা এন্টেনা, এরকম দেখতে

0 comments:
Post a Comment